প্রকল্প কার্যক্রম :
গ্রাম নির্বাচন : স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিদের সমন্বয় গঠিত কমিটির মাধ্যমে প্রকল্পের আওতায় গ্রাম নির্বাচন করা হয়ে থাকে।
উপকারভোগী নির্বাচন : প্রকল্পের নীতিমালা অনুসরণে গ্রামে পূর্বনির্ধারিত প্রকাশ্য সভায় 40 জন মহিলা ও 20 জন পুরুষসহ মোট 60 জন গরীব উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়। উপজেলা পর্যায়ের ট্যাগ অফিসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীগন গরীব নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। এ ক্ষেত্রে প্রকাশ্য সভায় যিনি গরীব সাব্যস্ত হন তিনিই উপকারভোগী হ্ওয়ায় প্রাধান্য পান।
গ্রাম সংগঠন সৃষ্টি : উপকারভোগীদের সমন্বয়ে একটি গ্রাম সংগঠন তৈরী করা হয় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সংগঠনের অনানুষ্ঠানিক নিবন্ধনপ্রদান করেন।
প্রশিক্ষণ প্রদান : গ্রাম সংগঠন ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং একজন শিক্ষিত ও বিশ্বস্ত ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়।
বিশেষ প্রশিক্ষণ : কৃষিকাজ, হাস-মুরগী পালন, মৎস্যচাষ, নার্সারী ও গবাদি পশুপালন বিষয়ে প্রতি সংগঠন হতে প্রতি বিষয়ে একজন করে উপকারভোগী বাছাই করে তাদেরকে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এবং উক্ত বিষয়ে গ্রামে প্রদর্শনি খামার স্থাপনে উদ্ধুদ্ধকরণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
উঠান বৈঠক : সদস্যগন সাপ্তাহিক/মাসিক উঠান বৈঠকের মাধ্যমে তাদের সমস্যাদি চিহ্নিত করেন। সমস্যা সমাধানে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এ বৈঠকে প্রকর্প কর্মকর্তা/কর্মচারী উপস্থিত থেকে তাদেরকে কার্যাপরিচালনায় সহায়তা প্রদান করেন। তবে সিদ্ধান্ত উপকারভোগীরা নিজেরাই গ্রহন করেন।
প্রকল্প গ্রহন : উঠান বৈঠকের মাধ্যমে উপকারভোগীগন তাদের পেশা ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহন করেন। তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনুমোদন প্রদান করেন।
পুজিঁ/ঋণ সহায়তা : উপকারভোগীগনকে তাদের গৃহীত প্রকল্পে সহজশর্তে পুঁজি সহায়তা/ঋণ প্রদান করা হয়। তাঁরা তাঁদের প্রকল্পের আয় হতে গৃহীত ঋণ 8% (আট) সেবামূল্যসহ পরিশোধ করেন।
গ্রাম সংগঠনের ব্যাংক হিসাব : গ্রাম সংগঠনের নামে ব্যাংক এ একটি হিসাব খোলা হয় এবং সকল লেনদেন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
উৎসাহ বোনাস ও ঋণ তহবিল : প্রকল্প হতে উপকারভোগীদের সঞ্চয়ের সমপরিমান ( মাসে সর্বোচ্চ 200 টাকা) উৎসাহ বোনাস ও সমিতি প্রতি বার্ষিক 1,50,000 টাকা ঋণ তহবিল সমিতিরে ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। উপকারভোগীগন তাদের সঞ্চয়সহ সকল অর্থ তাদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে ঘূর্নায়মান তহবিল হিসাবে ব্যবহার করেন।
সমিতির আর্থিক ব্যবস্থাপনা ও মোবাইল ব্যাংকিং : ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে গতিশীল ও কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং জনগনকে সরকারী সেবা পৌছানোর জন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিরন্তর তথ্য প্রবাহ এবং আর্থিক কার্যক্রম ( সঞ্চয় জমা, মাইক্রো সেভিংস, প্রশিক্ষণোত্তর সহায়তা, র্ঘূনায়মান তহবিল) পরিচালনা করা অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সরকারি অর্থের সদ্ব্যবহার, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, আর্থিক অনিয়ম রোধ এবং আর্থিক লেনদেন সহজ করার লক্ষ্যে মোবাইল ব্যাংকিং একটি অত্যাধুনিক মাধ্যম হিসাবে ব্যবহারের পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রামকে Tele Networking এর আওতায় এন প্রকল্পের উপকারভোগীদের পূর্ণাংগ ডাটাবেজ তৈরীসহ আর্থিক লেনদেন বাস্তাবায়ন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সমিতিতে প্রতিটি সদস্যের জমা উত্তোলন Mobile Banking System এর মাধ্যমে সম্পান্ন করার সকল ব্যবস্থা গ্রহীত হয়েছে।
প্রকল্পের মাইক্রোসেভিংস, বোনাস, আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহন, ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম : একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠিকে সংগঠিত করণ, সঞ্চয়ে উৎসাহ প্রদান, সদস্য সঞ্চয়ের বিপরীতে সমপরিমান অর্থ বোনাস প্রদান, সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে মানবসত্তাকে শাণীত করণ, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় পুঁজি গঠনে সহায়তা প্রদান, আত্ম কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বালম্বি করাই প্রকল্প কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।
একগুন জমা দ্বিগুন আয়
দরিদ্রতা হ্রাসে নতুন উপায়।